বিড়ালিনী ।। ব্রতী মুখোপাধ্যায়

onugolper adda full

বালকনিতে ঋতম ধোঁয়ার রিং ছুঁড়তে ছুঁড়তে দেউলি পৌঁছে যায়। দেউলি এক গ্রামের নাম যেখানে কোনোদিন তার পা পড়েনি, যেখানে বাঁশবাগানের মাথার ওপর হলুদ রঙের চাঁদ, নদীর ধারে কাশ, মেয়ে বললেই কুসুম, তাদেরই একজনার ও মাই গড বুকের গড়ন, হায়!                   
 
দেয়ালের একটি-দুটি ইট নড়তে চাইছিল। একটি-দুটি লাজুক-নিলাজ কোমল ধ্বনির অঙ্কুরোদ্গম হতেই উৎসারিত আলো। বিড়ালিনীর চোখে নীলচঞ্চল অভিমানের বিদ্যুৎ। বিড়ালিনীর চোখে সর্বনাশা দোতারাই বাজে।      
 
 
ঋতম শুধুই ভাবে। দেউলি থেকে এতটা পথ, বাবলাবন, কাদামাটি, নয়ানজুলি, নিশির স্বর, বেজম্মা সব দালাল। কীভাবে যে বি-ব্লক থ্রি-বির পাঁচ-বাই-আট বালকনিতে এইরকম   জোছনানাওয়ানো গজব! লিনিয়ার এলজেব্রার প্রব্লেমগুলো ভুল হয়ে যায়।           
 
 
ঋতম একদিন বলল, সময় করে এসো।     
 
 
যার ফ্ল্যাটে এই হার্টথ্রব আছে তার দাড়িতে মেহেন্দি রং। ঋতম জানে না বেগম না বাঁদি। 
 
 
বিড়ালিনীর ঠোঁটের গোপন কাঁপন দোতারায় ধরা দিল। তখন নিবিড়তর অন্ধকারে কাঠচাঁপাদের ধীর ধীর কদম, ধীর ধীর কদম বিড়ালিনীর।      
 
একটি-দুটি ইট খসল কি খসল না, হঠাৎ দেয়ালের উল্টোদিকে ডেসিবেলের বাপমা নেই ধ্বনি, সে ধ্বনির প্রতাপের কাছে লাঠি বন্দুক যেন কিছুই না।   
 
 
তারপরই সরব কান্না, বালকনির পর বালকনিতে এক দুই তিন চার খাসখবরের মুখ।        
 
 
ঋতম জানে বিড়ালিনী নিরপরাধ, জানে তারও কিছুই করার নেই চোখ যদি এইরকম জ্বলে, যদি দেয়ালের ইট অব্দি খসে পড়তে চায়।     
 
বিড়ালিনী বলে চলেছে
 
জিন্দা কব্র দে…  
 
 
সারারাত ঋতমের কানে    
 
জিন্দা
 
কব্র 
 
দে 
 
 
 
 
লেখকের অন্যান্য লেখা

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...