ত্রাণ ।। অংশুমান চক্রবর্তী

onugolper adda full

 

লকডাউনে ঘরবন্দি প্রত্যেকেই। উপার্জন বন্ধ দিনমজুরদের। স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে কিছু অভুক্ত মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সামান্য ত্রাণ। দূরত্ববিধি বজায় রেখে সেটুকু পাবার আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। এই কাজটি তদারকি করছেন ক্লাব সম্পাদক অনুপম। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। লকডাউনের জন্য এখন তিনি কাজে যেতে পারছেন না। মূলত তাঁর উদ্যোগেই কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ক্লাব। অনেক সদস্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও, বেশিরভাগ টাকাই দিয়েছেন অনুপম। চলছে ত্রাণ বিতরণের কাজ। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাফ্স, অনুপম তদারকি করছেন। হঠাৎ বেজে উঠল তাঁর মোবাইল। অফিসের ফোন। মোবাইল কানে ধরেই হতবাক অনুপম। অফিসের বস জানালেন, 'পরিস্থিতি ভালো নয়। ছাঁটাই করা হয়েছে কোম্পানির বহু কর্মীকেই। সেই তালিকায় আছেন আপনিও।'
 
নির্বাক অনুপম। চোখের সামনে ভেসে উঠল পরিবারের প্রত্যেকের মুখ। রোজগেরে বলতে তিনিই একা। ভাবছেন অনুপম, এখন তিনি কোন দিকে দাঁড়াবেন, যারা ত্রাণ দিচ্ছেন, তাঁদের দিকে? নাকি যারা ত্রাণ নিচ্ছেন, তাঁদের দিকে?
 
 
লেখকের অন্যান্য লেখা

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...