সম্পর্ক-১
উন্মাদনার জীবনের কোনও পাঠক্রম আমাদের শেখানো হয়নি। বোধ হতেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে আবাসিক ব্যবহারিক ক্লাসে৷ যেভাবে জন্মের পর গন্ডারশাবক শিখে নেয় জীবনের দৌড়, সেভাবেই আমরা শিখে নিয়েছি ইন্টিগ্রেটেড জীবন যুদ্ধ। আর এইসবের মধ্যে আমাদের অবলম্বন হয়ে উঠেছে যত্নবোধের শীতলপাটি জড়ানো সম্পর্করা। যেখানে কোনও পারফরম্যান্স এর স্কোর নেই। শুধু জ্বরের গায়ে যেভাবে ব লেপ্টে থাকে সেভাবে আমাদের সাথে লেগে আছে আন্তরিক সুখ। প্রতিটা যুদ্ধ শেষে মিউট্যান্ট এর পোশাক খুলে রেখে আমরা সাবলীল যাপনে মেতে উঠি একে অপরের সাথে। শুধু এই ছুঁয়ে থাকারা বলে দেয়, যেভাবে যুক্ত হয়ে অক্ষর গড়ে তোলে সম্পর্ক সেভাবেই কখনও রেফ অথবা মাত্রা হয়ে আমরা আগলে রাখি একে অপরকে। আর যাপন করে চলি একটা আস্ত সম্পর্ক। যেখানে আলাদা করে ভালোবাসার সাবটাইটেল ফুটিয়ে তোলার প্রয়োজন হয় না। থার্ড ব্র্যাকেটের মতো আমাদের ঘিরে রাখে যত্ন এবং শুশ্রূষা।
সম্পর্ক -২
ঘুমের ভিতর জেগে উঠে দেখা হয়ে যায় শৈশবের সাথে। সারল্যের জামা গায়ে দিয়ে সে দুড়দাড় পায়ে ছুটে বেড়াচ্ছে যে বাড়িটায় সেটা ভগ্নপ্রায় নাকি নির্ণীয়মান তা বুঝে উঠতে উঠতেই আছাড় খাওয়া এড়িয়ে সিঁড়ি টপকে চলে আসি বিছানার পাশে৷ চোখ বুজলেও যেসব বন্ধু আমাকে ছুঁয়ে থাকে তাদেরই একজন হাতের বই রেখে আমার দিকে মন দেয়। আমাকে শান্ত হওয়ার জন্য ঘুষ হিসাবে চুলে তেল মাখাতে বসে বন্ধু। এইসব দৃশ্যে বালিকা আমি বন্ধুর মুখে ভাইফোঁটার প্রদীপের আলো দেখতে পাই। আমার আগডুম বাগডুম এলোমেলো কথাদের খাঁজে খাঁজে সাজিয়ে দেয় উত্তরের বাঁধনে। এইসব দৃশ্যদের সাথে বন্ধুর টেলিযোগাযোগ হয়ে ওঠার বহু আগে, আলাপ হয়েছিল মৃত প্রেমিকের সাথে। তার পরামর্শেই বন্ধুকে আলাদা করে দাদা নামের জামা পরিয়ে সম্পর্কের হাঁসফাঁস আটকাতে আমি রেখে দিয়েছি রিসিভার। প্রেমিকের কাছেই শুনেছি সম্পর্কের রূপকথার গল্প। যেসব গল্প আজো অক্ষরে অক্ষরে তিন সত্যি হয়ে আমার বন্ধু আগলে রাখে আমার হুইল চেয়ারের গতি। ঘুমের ভিতরে জেগে উঠলে সে চুলে তেল মাখাতে মাখাতে আঙুল মটকানোর মতো একটা একটা করে ডিপ্রেশনের গাঁট ফাটিয়ে দেয়। অথচ এইসব দৃশ্যে আমরা কেউ কাউকে ছুঁতে পারি না। গলা জড়িয়ে দোল খাওয়া না হলেও আমরা অপূর্ব এক সুগন্ধি বাঁধনে বেঁধে বেঁধে থাকি। এইসব দেখা হওয়া হওয়িদের ছুটি হওয়ার সময় হলে বেজে ওঠে আরো এক বন্ধুর ডাক দেওয়া ফোন। দূরে কোথাও গান বাজছে। মৃত প্রেমিক এক আলোর বৃত্ত এঁকে দিয়ে গেছে আমার চারিপাশে। যেখানে এইসব সম্পর্করা তিন সত্যি হয়ে মনখারাপ, বিষন্নতা মুছে এঁকে দেয় আদর-আব্দারের আলপনা। খুনসুটির রঙ ঢেলে দিই পয়েন্ট জিরো তুলি দিয়ে। ধীরে ধীরে পাশ ফিরলে আমি দেখি সন্ধ্যে নামছে। যাই পড়তে বসি৷