কীর্তিমান ।। সিদ্ধার্থ সিংহ



কীর্তিমান
সিদ্ধার্থ সিংহ

সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে। ওঁরা তিন তলোয়ারবিদ্ নাকি ভেলকি দেখাতে পারেন। গ্যালারি গমগম করছে। প্রথম জন উঠে এলেন রিংয়ে। মোটা কালো কাপড় দিয়ে তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হল। তার পর কৌটো খুলে তাঁর সামনে ছেড়ে দেওয়া হল একটি মাছি। ডানার ফড়ফড় শব্দ শুনে তলোয়ার চালালেন তিনি। এক কোপেই দু'টুকরো। উইন্ডো স্ক্রিনে সে দৃশ্য দেখে করতালিতে ফেটে পড়ল গোটা গ্যালারি।
দ্বিতীয় জন তখন রিংয়ের মাঝখানে। হাতে চকচক করছে তলোয়ার। সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হল। তাঁর সামনে উড়ন্ত একটি মাছি। সাঁইসাঁই করে তিনি শুধু দু'বার ঘোরালেন সেই অস্ত্র। মাছিটা চার টুকরো হয়ে পড়ল লাল কার্পেটের ওপরে। পুরো গ্যালারি তাজ্জব। তিন টুকরো হলেও নয় ভাবা যেত, কিন্তু একেবারে চার টুকরো! এমনও হয়! যখন সম্বিত ফিরল, রিংয়ে তখন তৃতীয় জন। তাঁর সামনেও ছেড়ে দেওয়া হল একটি মাছি। সেটা যখন উড়তে উড়তে রিং থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, তিনি বসিয়ে দিলেন এক কোপ। মাছিটা তখনও একই রকম ভাবে উড়ছে। গ্যালারির দর্শকেরা এ ওঁর মুখ চাওয়াচাউয়ি করতে লাগলেন, ইনি সব চেয়ে দক্ষ! এঁর কেরামতি দেখতে এসেছেন তাঁরা! এঁর বেলায় তো চোখও বাঁধা হয়নি, আলোও নেভানো হয়নি। তবুও... হে হে হে হে... ঠিক তখনই জুড়ি বোর্ড ঘোষণা করলেন ফলাফল। গুঞ্জন উঠল গ্যালারিতে। ইনিই প্রথম! কী করে হয়? কত দিয়েছে বাবা? বিচারকরা তখন বললেন, উইন্ডো স্ক্রিনে দেখুন, ইনি মাছিটাকে দু'টুকরো করেননি ঠিকই, তবে যা করেছেন, তাতে ওই মাছিটা আর কোনও দিনই বাবা হতে পারবে না।

লেখকের অন্যান্য লেখা

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...