হ্যাপি চিলড্রেন্স ডে
কেশব মেট্যা
--- ওই হিরো‚ হাঁ করে কী দেখছু বে ‚ দু এক টান লিবি নাকি ?
সম্বিত ফিরে পায়। দাঁত বের করে বলে ওঠে--
--- তুমি তো মাকে বলে দিবে।
---আবে ধরধর । সুড়ুৎ করে টান মেরে দে একটা। তারপর ফুড়ুৎ করে ধুঁয়াটা ছেড়ে দিলেই দিল-খুশ। তারপর এই টিনগুলান ধরে লিয়ে উইখানটায় সরাবি। আর এই রং এর বালতিটা ধুবি। বিকালে কুড়ি টাকা পাবি বে।
ইস্কুল যখন। রোজ রোলকলও করতে হয়। মিড ডে মিল আছে যখন‚ ইস্কুলের খাতায় ওদের উপস্থিতিও এমনি এমনিই হয়ে যায়। তবে আলমারি দোকানের কাকুরা খোঁজ রাখে ওদের। বিড়ি দেয়। ঝিঙ্কা চিকা গান শুনায়। টাকাও দেয়।
কিন্তু ওসব খোঁজ রাখেনা ইস্কুল ! পরীক্ষা না দিয়েও বছরের পর বছর খাতায় কলমে পাশ হয়ে যায় ওরা।
ঘরে মা আছে। মদ খাওয়া বাপ আছে। মা বাপ আছে যখন , দুটো দুটো চারটা হাতও আছে। হাত আছে যখন , ওই কুড়ি টাকা চালান হয়ে যায় বাপ মায়ের হাতে। ওদের বয়স ৭ কিংবা ৮। স্বাধীনতার বয়স এদের অনেকগুণ ! 'শিশু’ আছে যখন‚ ‘শ্রম’ আছে যখন । দুটো জুড়েই দিলাম। শালা তোর বাপের কী ?