সৎ পাত্রী ।। সহদেব প্রধান

onugolper adda full

বিদ্যালয়ে বাৎসরিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হবে। তার জন্য সাংস্কৃতিক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের আলোচনা চলছে। ক’টি বিভাগ,কী কী প্রতিযোগিতা,বিষয়,বিচারক,পুরস্কার ইত্যাদি। পঞ্চম শ্রেণির আবৃত্তির জন্য সুকুমার রায়ের ‘সৎপাত্র ’ কবিতাটি রাখার প্রস্তাব দিলেন কোয়েল ম্যাডাম। সঙ্গে সঙ্গে নবাগত শিক্ষক মান্দাস বাবু বাধা দিলেন। জানালেন,  ‘সৎপাত্র’ কবিতাটি ভালো নয়। এখানে কালো রংয়ের মানুষদের  বিশ্রিভাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। 
মান্দাস বাবু ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে খুবই প্রিয়। খুবই ভালো পড়ান। অলস শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ তাকে সহ্য করতে পারেন না। 
সেই মান্দাস বাবুর মুখে এমন বোকা বোকা কথা শুনে কোয়েল ম্যাডাম সহ অনেকে বেশ আক্রমনাত্মক হয়ে উঠল।  আপনি সুকুমার রায়ের থেকে বেশি মহান ! আপনি নিজেকে কী মনে করেন ! — এই ধরনের কথা চলতে লাগল। 
মান্দাস বাবু একটু উত্তেজিত হয়ে জানালেন, ‘ সুকুমার রায়ের অন্যান্য লেখাগুলো বেশ ভালো। কিন্তু একজন কবি যে সব কবিতাই ভালো লিখবেন তার কোনো মানে নেই। শরীর নিয়ে ব্যঙ্গ করাটা  অনুচিত, এই ধারনা আগে তেমন ছিল না । কিন্তু এখন ,আধুনিক সমালোচকদের দৃষ্টিতে ওই ধরনের লেখা নিন্দনীয় । ’
এই কথা শুনে আরও সমালোচনা বাড়ে। মান্দাস বাবুর অহংকারের পরিমাপ চলতে থাকে। 
সেসব দিকে কান না দিয়ে মান্দাস বাবু ভাবতে থাকেন কোয়েল ম্যাডামের কথা। কোয়েল ম্যাডামের স্বামীকে তিনি দেখেছেন। বেশ কালো। কোয়েল ম্যাডামের তো কবিতার এই সমালোচনাটাকে সমর্থন করা উচিত ছিল। তার প্রস্তাবিত কবিতা থাকবে না— এই ইগো থেকেই কি সত্য সমালোচনার বিরোধিতা করে গেলেন !
কয়েকদিন ধরে ভেবে চললেন। কিন্তু কোনো সঠিক উত্তর মনে এলো না। উত্তর এলো দু’বছর পর। 
কোয়েল ম্যাডাম তার কালো স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।

একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...