স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু

swadhinota

 

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু 

।। এক ।।

স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের ভুলঅনুষঙ্গে মাথায় তুলে রাখতাম বলে আজ, সুযোগ পেয়ে আরেকবারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, সেসব দিনে আমি তথাকথিত স্বাদের কাঙাল ছিলাম। কথাগুলি এও প্রমাণ করে যে, আমি আজ তথাকথিত বিস্বাদের কাঙালতা অর্জন করে, ধন্য এক জীবন কাটাচ্ছি। এবার যদি 'তথাকথিত' শব্দটি দুই ক্ষেত্র থেকেই বিদায় দেই, তাহলে কথাগুলি দাঁড়ায় এই যে, একদা আদতে আমি বিস্বাদের সাধক ছিলাম। আজ আমি সত্যিস্বাদের পূজারী হয়েছি।

আজ তৃপ্তি নামক এক পরিপূর্ণ উপলব্ধি আমাকে ঘিরে থাকে। মানে আমি বর্তমানে এক উলোটপুরাণের জগতে বসবাস করছি। যদিও এইই প্রকৃত স্বাদ বা পিওর টেস্ট। আর আমি আশা করছি যে, আমার বান্ধবেরাও সেই অনুপম জগতে এসে বিচরণ করুন ও জীবনের সত্যিকারের আস্বাদ  নিন।

এখন বলি পূর্বাশ্রমে স্বাদ বলতে আমি কী জানতাম। আমাদের সাধারণ জীবনে, স্বাদের যে পারাকাষ্ঠা আছে, তার সবার উপরে লবনের অধিষ্ঠান। এক হিসেবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন হতে শুরু করে, রসনাবিপ্লব, সবকিছুতেই লবণ বা নুনের গরিমা আকাশচুম্বী। এরপরে যার ভূমিকা বিরাট, সে চিনি। চিন থেকে চিলি, আমাদের স্বাদের চিল চিৎকার জুড়ে আছে সে। অথচ মানুষের জীবনে, এই দুটি স্বাদেলা বস্তুর আলাদা কোনো ভূমিকাতো থাকার কথাই নয়, বরং নিষিদ্ধ হওয়াই উচিত। এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলার আগে আমি স্বাদগুলির শ্রেণিভাগ করে নিতে চাই। 

।। দুই ।।

স্বাদকে আমি মোটাদাগে চারভাগে ভাগ করতে চাই। আগেই বলেছি, এর একদম প্রথমেই আছে ১.জিভের স্বাদ। এটা আবার প্রধানত দুই প্রকার— প্রথমে আছে i) নুন, তারপরে আছে ii) চিনি। তারপর আছে ২. যৌনতার স্বাদ। এর একটাই স্বরূপ—'প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর...'। এরপর আসে ৩. মনের স্বাদ। মনের স্বাদ না বলে বলা যেতে স্বভাবের স্বাদ। এরমধ্যে পরে নানারকম মদ, মাদক ও মনের বিকারজাত স্বাদপূরণের ইচ্ছা। এটা অবশ্য সভ্যতার অন্ধকার দিক। সবশেষে বলি মননের স্বাদের কথা। মননের স্বাদ জটিল এবং বহুমুখী। তাকে আলাদা আলাদা করে দেখানো খুব মুশকিল। তবে এর কয়েকটি স্পষ্ট রূপ আছে। যেমন প্রথমেই আছে i) মুক্তচিন্তার স্বাদ, তারপরে আছে ii) বাক স্বাধীনতার স্বাদ। এবং তৃতীয়ত iii) নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতার বা স্বকীয়তাযাপনে স্বাদ। 

এবার দেখাবো ধীরে ধীরে কীভাবে আমি আমার জীবন থেকে তথাকথিত প্রধান স্বাদগুলি বিসর্জন দিয়েছি। বা কীভাবে আমার স্বাদবদল হয়েছে। বা কেন আমি তাদের ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। 

।। আলুনি জীবন ।।

যেদিন থেকে জানতে পারলাম মানবসভ্যতা যে প্রধান কয়েকটি অপ্রয়োজনীয় অভ্যাস অর্জন করেছে, তার এক নম্বরে আছে নুন, আলাদা করে নুন খাওয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই আমাদের, সেদিন থেকেই আমি খাবারে 'কাচানুন' খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। মানুষের সামান্য যে পরিমাণে নুনের প্রয়োজন তা শাকসবজি থেকেই পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নুন ছাড়া খাওয়া অভ্যাস করলে একসময় নুন দেওয়া খাবারই বিষাক্ত লাগে। সেদিক থেকে বলা যায়, নুন খাবারের প্রকৃত স্বাদকে নষ্ট করে দেয়। যখন নুন খাওয়া ছাড়ি, তখন আমি একা একাই থাকতাম। রান্না করতে করতে কোন একটা পত্রিকায় পড়ছিলাম যে, নুন আলাদ করে খাওয়ার প্রয়োজন নেই; সেই মুহূর্ত থেকেই এটি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যদিও আমি তখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক লবণপ্রিয় ছিলাম। অথচ আমাদের সেই 'নুনের মতো ভালোবাসা' বা 'লবণসত্যাগ্রহ আন্দোলন' সব জায়গাতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ লবন। ভাবুন একটা কোম্পানি জাস্ট অপ্রয়োজনীয় একটি দ্রব্য দেশ-জাতিকে গিলিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললো। অন্যদিকে 'লাবণ্য' শব্দটি জন্ম পেয়েছে এই নুন থেকেই। আর ভেবে দেখুন আমাদের সাহিত্যে 'লাবণ্য' ব্যাপারটি কতখানি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়! আমাদের হাড়েমজ্জায় গভীরভাবে নুন-সাম্রাজ্য বিস্তারিত হয়ে আছে! এছাড়া কারো গুন গাইতেও আজকাল ভালো লাগে না। ফলত, এই আলুনি জীবনে মজাতেই আছি একথা জোর দিয়েই বলা যায়।

।। মিষ্টান্ন মিতরে জনাঃ ।।

সাহিত্যে মিষ্টতারই বা কদর কম নাকি? রস বা অমৃত যাই বলুন না কেন, প্রসঙ্গ 'মিষ্টি' হওয়া বাঞ্ছনীয়। 'মিছরির ছুরি' ব্যাপারটিও মনে রাখতে হবে। আমার বন্ধু ও প্রিয়জনেরা জানেন আমি একসময় কতটা মিষ্টিখেকো ছিলাম। কিন্তু এই মিষ্টিকেও আমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম, রক্তে চিনির মাত্রা বাড়বাড়ন্তের পরে। বহুবছর আমি চিনিহীন জীবন কাটাচ্ছি। মানে আমি একজন অচৈনিক। সত্যিকথা বলতে কী, গ্রিন টি দুধ, চিনি ছাড়া খেতে হিম্মতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু একবার যদি আপনি প্রকৃত চায়ের স্বাদ পেয়ে যান, তাহলে গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, স্বর্গ হাতে পেয়ে যাবেন। তারপর একসময় জানতে পারলাম, চিনি খাওয়াও মানব সভ্যতার আরেকটি অপ্রয়োজনীয় খাদ্যাভ্যাস। শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, সে নাকি মাদকের মতো ক্ষতিকারক। ফলে আনন্দ আরো বেড়ে গেল আমার। এই হল আমার স্বাদহীনতার পানপাত্রের ইতিহাস। আসলে তা উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী। 

।। যৌনতার স্বাদ ।।

পৃথিবীতে প্রকৃত প্রেম আর সম্ভব নয়। প্রথমত বিবাহপদ্ধতিই যৌনতার প্রকৃত স্বাদের পায়ে প্রথম শিকল পরিয়েছিল। তারপর যতদিন গেছে এবং নর-নারীর সম্পর্ক নিয়ে যত কড়াকড়া আইন হয়েছে, যৌনতা ততবেশি অফিসিয়াল ও কৃত্রিম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে অনেক অনেক তর্ক-বিতর্ককে পাশে সরিয়েও বলতে চাই, এখন, বিশেষত পুরুষদের জন্য হৃদয়বিনিময় সত্যিসত্যিই স্বাদহীনতায় কাহিনি পরিণত হয়েছে। সে হিসেবে পুরুষের হাতেও এখন শেকল পরানো। তাই আমার দাবি যতদূর সম্ভব দ্রুত ’খেলনা'গুলি বাজারে সহজলভ্য হওয়া দরকার। না হলে মানবজীবন সত্যিকারের স্বাদহীন হয়ে যাবে। তাছাড়া অবদমিত যৌন ইচ্ছা, মানুষকে ভেতরে ভেতরে মানসিক রোগী করে তুলবে। কথাগুলি ফ্রয়েড সাহেবের অনুসারেই বলছি। আর আমি নিজেও সেটা রোমে রোমে উপলব্ধি করি।

।। নেশার স্বাদ ।।

আমাকে একবার এক পরিচিত বলেছিলেন,—‘তুমি মশাই নিরামিষ মানুষ’। সেই রসময় মানুষটি, নানা সময়ে আমাকে তার রসের আসরে যোগ দেওয়াতে ব্যর্থ হয়ে, এই ধিক্কারবাক্যটি বর্ষণ করেছিলেন। সেই সোমরসের স্বাদবর্জিত এই আমার অবস্থা এখনও একই আছে। সত্যি কথা বলতে কি শিল্প ছাড়া আমার কোনো 'নেশা' আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। আর আমার শিল্পচর্চার মূলে আছে নারী। ফলত, নারী ছাড়া আমার কোনো নেশা নেই। কিন্তু এই দুঃসময়ে ছিটেফোঁটা সে স্বাদের যোগানও রাহুগ্রস্ত। আমাকে যদি স্বাদহীনতার জীবন বলে সত্যিকারে কিছু বলতে হয়, তবে এই অনারী জীবনকেই বোঝাবে। বাদবাকী যে নেশাদ্রব্য, তা আমি সচেতন এবং ঘৃণাভরে উপেক্ষা করি। কারণ আমি আমার স্নায়ুর অধিকার কাউকে দিতে রাজি নই। আর তাই এই স্বাদহীনতার জীবনে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।

হায় চিল!...

।। মুক্তচিন্তার স্বাদ ।।

আমি সারাজীবন চেষ্টা করেছি, আমার ভেতরে সব সময় যেন একজন মুক্তচিন্তক জেগে থাকে। সে যেন মানব সভ্যতার স্বপক্ষে প্রহরী হয়ে ওঠে। কোনো চাপিয়ে দেওয়া বস্তাপঁচা চিন্তা যেন আমাকে না ছোঁয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মুক্তচিন্তক হয়ে উঠতে পেরেছে কি? বা আমার সমাজ, আমার মুক্তচিন্তার দাম দেয় কি? আমিতো স্বাদহীনতার পৃথিবীতে ঢুকে পড়ি মাঝে মাঝেই। বেরোই কি কখনো? চারিদিকে চিন্তাহীনতার দানব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যে! এই স্বাদহীনতা আমাকে মরমে মেরে রাখে!

।। বাকস্বাধীনতার স্বাদ ।।

মুক্তচিন্তার হাত ধরেই আসে বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গ। যেমনটা ভাবি তেমনটাই বলতে চাই। কিন্তু পারি কই? বোধবুদ্ধি হবার পরে থেকেইতো এই বিষয়ে স্বাধীনতা অর্জনেরই চেষ্টা করে যাচ্ছি। কথা বলার স্বাধীনতা। আমার বলার কথা আমি খোলামেলা প্রকাশ করতে চাই। কোনো প্রকার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় বা ধর্মীয় কাঁচিতে তাকে যেন ছোট না হতে হয়। চাপিয়ে দেওয়া কথা নয়, নিজের অনুভব-অনুভূতির কথাটি, আমি সোজাসাপ্টাই বলতে চাই। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, এই স্বাধীনতার স্বাদ সম্পূর্ণভাবে কখনোই পাওয়া হল না। সেই ডাকাবুকো বুকটাইতো নেই। এই ‘মিনমিনে শয়তান'-এর জীবন খুব খারাপ। আমি মেরুদণ্ডহীন এই আমিকে ঘৃণা করি।

।। স্বকীয়তাযাপনের স্বাদ ।। 

এও এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। যতই আমি নিজের মতো থাকতে চাই, নিজের মতো ঘুরতে চাই, হারিয়ে যেতে চাই নিজের দেশে, ততো বেশি বেশি বেড়ি পড়ে আমার পায়ে। স্বকীয়তাহীন এক বিস্বাদ জীবনে ডুবে থাকতে বাধ্য হই আমি। কেউ কি পারে নিজের মতো করে বেঁচে থাকতে? সামাজিক জীব হতেই হবে? কেন? সমাজের এই ঘেরাটোপ আমি ঘৃণা করি। আমি একলা চলতে চাই। কিন্তু পারি কই? 

পরের জায়গা পরের জমি...

।। তিন ।।

আমার স্বাদহীনতার এই আখ্যান, আজ লকডাউনে আরও আরও স্বাদহীন হয়ে উঠেছে। এই আতঙ্কময় পরিবেশে কবিতা, ছবি, শিল্পের জগত আমাকে জাগিয়ে রেখেছে, বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে আজ এই পর্যন্তই থাক। আসলে ব্যক্তিগত অতৃপ্তির, অপ্রাপ্তির কথা নিয়ে বেশি কচলাতে নেই। তাতে পরিবেশ তেতো হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া স্বাদহীন গৃহ-সংশোধনাগারে থেকে থেকে আজকাল, মস্তিষ্কের মধ্যেও কেমন অসংলগ্নতা দেখা দিচ্ছে। তাই রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েই শেষ করি—

'স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?/ দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে,/কে পরিবে পায়।...'



swadhinata pra

গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2779

ছোলামুড়ি ।। অলক জানা
Alok Jana || অলক জানা

  ঝড় ভাইরাস মাটিকম্পন পেরিয়ে বরাবরের মতো খামতিহীন এবারও ভারতবর্ষে ১৫ আগস্ট চলেই এলো। মেঘ বৃষ্টির বেরসিক খলনায়কত্ব, উল্কাপাত মরশুম। এক কথায় সমস্ত রকম নেগেটিভ স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সামলে টিকে থাকতে হবে এটাই এখন বড় কথা। তবুও ভালো স্বাধীনতার আলো হাওয়ায় অন্তত…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14563

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
Biplab Gangopadhyay ।। বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

স্বাধীন লেখা এবং স্বাদহীন লেখা। এরকম দুটি শিবির আমরা কল্পনা করতে পারি অনায়াসে । কল্পনা নয়, বাস্তবেও আমরা দেখি একধরণের লেখার অক্ষরে কোথাও বন্দিত্বের দাগ নেই। ঋজু টানটান শিরদাঁড়া। শব্দের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে অপরিসীম তেজ। আবার কিছু লেখা থাকে…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2713

স্বাদ হীনতার কথা ।। প্রিয়াঙ্কা
Priyanka ।। প্রিয়াঙ্কা

ডিভোর্স শব্দ টা আমি প্রথম শুনি আমার যখন ১০/১১ বছর  বয়স।   আমার বাড়ি অসমের বরাক ভ্যালির ছোট্ট একটা ডিস্ট্রিক্ট করিমগঞ্জে। একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম। একদিন একজন মহিলা এলো, ওর বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করেন, তিনি নিজেই নিয়ে এসেছেন সেই মহিলা কে।…

Aug 10, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1739

জল জঙ্গল জমিন / হড় মিতানের ঋণ ।। গৌতম মাহাত
Gautam Mahata ।। গৌতম মাহাত

    দীর্ঘ স্বাধীনোত্তর সময়ের পরেও অন্ধকার থেকে অন্ধকারে থেকে গ্যাছে জঙ্গলমহল তথা আদিবাসী সমাজ। তাদের থেকে হস্তান্তর হয়েছে জল জঙ্গল জমিনের অধিকার। দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সেই অনন্ত আলোর ছোঁয়া পৌঁছতে পারেনি যার বা যাদের সমাজের চৌকাঠে তারা আদিবাসী।         যাদের…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2605

‘‘জীবন কাটালেন কী রকম?’’–‘‘ভালো’’ ।। আশিস মিশ্র
Ashis Mishra || আশিস মিশ্র

  " জীবন কাটালেন কী রকম " " ভালো " " আপনার কোনো শত্রু ছিল? " " তারা আমাকে সৃষ্টিকাজ থেকে সরাতে পারে নি। " " আর খ্যাতি?" " কাজকে করে দিয়েছে কর্তব্য।" " আর আপনার বন্ধুরা? " " আমার কাছ থেকে চেয়েছে আরো কাজ।" " আর নারীরা?" " আমার…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3952

স্বাদহীন স্বাধীনতা ।। তৈমুর খান
Taimur Khan ।। তৈমুর খান

–আমরা কি স্বাধীন? –হ্যাঁ আমরা স্বাধীন। ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট আমরা স্বাধীনতা পাই। –ওটা স্বাধীনতা নয়, ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্রিটিশরা ভারতকে ভাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গেলেন মাত্র। আমরা একই শাসনের ভেতর পাল্টানো শাসককে পেলাম। ব্রিটিশ শাসকের বদলে এল ভারতীয় শাসক। –এতো অদ্ভুত কথা…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 3372

স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী ।। বিভাবসু
Bibhabosu ।। বিভাবসু

  স্বাদহীনতার জীবন : উপভোগ্য এক নোতুন পৃথিবী।। বিভাবসু  ।। এক ।। স্বাদহীনতার প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ার আগে, হে আমার জিহ্বার দেবতা, হে আমার বোধের দেবতা, হে তৃপ্তির দেবতা, তোমাদের আমি আমার বিস্বাদ ও বিষাদগ্রস্থ জীবনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। একসময়ে আমি তোমাদের…

Aug 5, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2303

হে আমার দেশ ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়
Avinandan Mukhopadhyay ।। অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়

স্বাদ এবং সাধ, এই দুই এক অনন্য বন্ধুবৃত্তের দুই জোড়া। একের জন্য অন্যের মরিয়া হামদর্দি। অথচ বহুত্ত্বের ক্ষেত্রে এই দুইয়ের এক হওয়া হয়না, হয়নি। এ আমার দেশ - খিদের দেশ, দারিদ্রের দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকের দেশ, দিনে অধিকাংশের ২০ টাকার নিচে আয়…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 14739

তুলির টানে স্বাদ–হীন সময় ।। অঙ্কন মাইতি
Ankan ।। অঙ্কন

" প্রভু, আপনি সর্বজ্ঞপণ্ডিত, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা।  জগৎটাকে পরিবর্তন করে সব কালিমা দূর করে দিন। আমিও আমার ছবি মুছে দেব।" মাইকেলেঞ্জেলোর এই স্বাধীনতার আর্তি হয়তো পথ দেখালো আগামী দিনের শিল্পীদের। আধুনিক চিত্রকলার স্বাধীন ভাবনার যুগ শুরু হলো ১৮১৯ সালে জাত,  ফরাসি শিল্পী গুস্তাভে…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1807

স্বাধীনতার স্বাদহীনতা ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী
Sudesna Ghatak Adhikari ।। সুদেষ্ণা ঘটক অধিকারী

  স্বাদহীনতার কাহিনী বলতে গিয়ে আমার মতো, আমাদের মতো স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল স্তরের কিছু কর্মীর স্বাধীনতার স্বাদহীনতাকেই বেছে নিলাম। স্বাধীনতাও যে স্বাদহীন হয় স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বা Covid-19 এর উপসর্গের মতো মাঝে মাঝেই তার মিষ্টি গন্ধটাও যে দম বন্ধ করা…

Aug 14, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 5890

স্বাদহীনতা অথবা স্বাধীনতা ।। সমর দেব
Samar Deb ।। সমর দেব

    স্বাধীনতা মানে তো নিজের অধীনতা। এই সরল বয়ানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক এই যে, মানুষ কী সত্যিই নিজের অধীনে ছিল কোনোকালেই? অথবা, মনীষী বাক্য, মানুষ  স্বাধীন হয়েই জন্মায় এবং পরে সে পরাধীনতার বশীভূত হয়। সেটাও পুরোপুরি ঠিক নয় বোধহয়। জন্মমুহূর্তেই শুরু…

Aug 7, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2088

ভয় ।। অর্পিতা আচার্য
Arpita Acharya ।। অর্পিতা আচার্য

   "যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয় আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয় " আমি সন্দীপা। আসামের শিলচরে থাকি। এই ভারতবর্ষেরই একটা ছোট্ট নগর --ঝাঁ চকচকে শহরের তুলনায় একটা দেহাতি জনপদ, কিছু পাহাড় টিলা আর বাংলাভাষায় কথা বলা কয়েকটা মানুষ। এতো সাধারণ একটা শহর…

Aug 13, 2020
Card image




গদ্য : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1603

শিক্ষকের স্বাধীনতা–শিক্ষকের স্বাদহীনতা ।। শোভা ভট্টাচার্য্য
Shobha Bhattacharya ।। শোভা ভট্টাচার্য্য

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ সাধনের নাম শিক্ষা। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানের বিকাশ। জ্ঞানের উন্মেষ না হলে চিত্তের বোধন হয় না। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারেনা। সুশিক্ষিত লোকমাত্রেই স্বশিক্ষিত। তবুও কারও না কারও কাছ থেকে কিছু শিক্ষা তো নিতেই হয়।…

Aug 14, 2020
আরও পড়ুন
«
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
»

গল্প: স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 2245

রবিবাসরীয়র জন্য গল্প ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
Suddhendu Chakraborty ।। শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী

ডোরবেল বাজাবার সময়  অনীক ভেবেছিল একটা রূপকথার পরি দরজাটা খুলে দেবে। কী যেন নাম বলেছিল ফেসবুকে? নির্ঘাত জালি নাম। আজকাল ওইসবই তো চলে। ও হ্যাঁ । মনে পড়েছে। কুয়াশা।              অথচ যে মেয়েটা অনীককে চমকে দিয়ে…

Aug 10, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13783

শিশুর স্বাধীনতা– শিশুর অধিকার ।। সহদেব প্রধান
Sahadev Pradhan ।। সহদেব প্রধান

এক. সিংহাসনে সাদা চামড়ার বদলে বাদামি চামড়ার বসাটা স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা হলো মানুষের কিছু মৌলিক অধিকার পূরণ। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ১৮ বছর বয়সের নীচে সবাই শিশু। জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা, বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশের অধিকারগুলি শিশুর মৌলিক…

Aug 11, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 4032

আজ স্বাধীনতা দিবস ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
Anjelika Bhattacharjee ।। অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য

    পাশের বাড়ির টিয়াটা সারাদিন ডেকে চলেছে।মিনতি একমনে বারান্দার গ্রিল মুছতে থাকে । টিয়ার ডাকে  একবার করে পাশের বাড়ির পোলুদের বারান্দার দিকে চোখ চলে যায়। খাঁচাটা বেশ বড় , তারমধ্যে আবার দোলনা আছে। চারদিন হল টিয়াটা এই শহরে এসেছে। পোলুর মামাবাড়ি…

Aug 5, 2020
Card image




গল্প : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 13792

শোধ ।। ওবায়দুল বারী
Obaidul Bari ।। ওবায়দুল বারী

  নূরীর মন টা আজ বেশ কিছুদিন ধরেই অজানা আশঙ্কায় ভর করে আছে। কোনো কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। সেয়ানা মেয়ে ঘরে রাখা ঠিক হবেনা ভেবে, সেই যে বাবা বিয়ে দিয়ে দিল... সেজন্যে তো মন খারাপ হয়েই ছিল। শুধু শফিকের একটা…

Aug 5, 2020
আরও পড়ুন

প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি



Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 1979

নারী স্বাধীনতা ।। রোশেনারা খান
Roshenara Khan ।। রোশেনারা খান

  স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায় ? এর উত্তর  বা সংজ্ঞা সমাজের বিভিন্ন  শ্রেণির নারী-পুরুষের কাছে বিভিন্ন রকম। আসলে বহু যুগ ধরে পুরুষ ও পুরুষ-তান্ত্রিক  সমাজব্যবস্থায় ধর্মের নামে নারীকে  সামাজিক রীতি-নিয়মের বেড়াজালে  আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষপাতদুষ্ট রেওয়াজ চলে আসছে। নারীকে…

Aug 10, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 16094

বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

  বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন                  দেবাশিস কুইল্যা       ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের…

Aug 5, 2020
Card image




প্রবন্ধ : স্বাদহীনতার কাহানি   দেখেছেন : 15845

স্বাধীনতার এত বছর পরেও লোকশিল্পীদের স্বাদহীনতার কাহিনী ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

"বিটির বিঁহা দিব কেমনে / আমার ঘুম ধরেনা নয়নে / এমনি মুগের রীতিনীতি / পণ ছাড়া বিকায় না / বিটির বিঁহা দিব কেমনে" -- এভাবেই টুসুগানে আমাদের সমাজের আঁধার কাহিনীর সুর তোলে। এ কান্না শিল্পীদের জীবনেও। কান্নার আওয়াজে দেওয়াল কাঁপে।…

Aug 11, 2020
আরও পড়ুন

স্বাদহীনতার কাহানি - সংখ্যায় প্রকাশিত লেখা সমূহ



একক কবিতা সন্ধ্যা



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...