আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...

একক কবিতা সন্ধ্যা



kobitadiwas

তরুণ কবির কবিতা উৎসব



Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। রজত গোস্বামী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। নিরঞ্জন জানা
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। মোনালিসা পাহাড়ী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সৌমন্তী সিনহাবাবু
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সুজিত কুমার পাল
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কৌশিক দাস
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। আগমনী রাজ
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব।। মোহিত ব্যাপারী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কবিতা সামন্ত
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। শান্তময় গোস্বামী

keshab heontor mohool

 

‘পিসেমশায়! আমি কি ঐ উঠোনটাতেও যেতে পারব না?'

–এই শব্দবন্ধ আজ  যেন বুকের মাঝে বারংবার ছ্যাঁৎ করে ছুঁয়ে যাচ্ছে । অমলের মতো কতো কোমলমুখের এখন এই একটাই আর্তি। দেওয়াল তোলা বর্গফুটের কারাগারে অসুখভয়ে বদ্ধ শৈশব। নির্ঘুম রাস্তার বুকেও শ্মশানের নিস্তব্ধতা।  নিজের অসুখ-বিসুখ হলেও না হয় ক'দিন ঘরবন্দি থাকা যায়; কিন্তু এ যে পৃথিবীর অসুখ, গভীর অসুখ!

           গনগনে সূর্য যখন মাঝ-আকাশ থেকে পশ্চিমে ঢলে পড়ছে টিফিন-শেষের ঘন্টার মনখারাপ নিয়ে, তখন আমার হাতে  সহজপাঠ উঠে আসে। ‘নাম তার মোতিবিল, বহুদূর জল, / হাঁসগুলি ভেসে ভেসে করে কোলাহল’। চার দেয়ালের মাঝে কচিকচি মুখগুলোর নিজস্ব কিচিরমিচির ছাড়িয়ে 'কোলাহল' শব্দে ভেসে উঠত ক্লাসরুম। যেন মনে হত ওদের চোখের আকাশে ভেসে যাচ্ছে হাঁসের সেইসব চিরকালীন সাঁতার। নিজের ছেলেবেলার কথা আমার তেমন মনে নেই, তখন কীভাবে ডানা মেলত সহজপাঠের চিল কিংবা বক, কে জানে! কিন্তু এই বয়সে যে সহজপাঠ এভাবে স্পর্শ করে দিগন্ত রঙিন করে তুলছে তা ওই যাদুকরের জন্যই।

      ভিড়ের ভয় আমার আজন্মকাল। কোলাহলের ভিতর একলা কাঁপত রুগ্ন কিশোর বয়স। তাই নির্জন-উঠোন, নিরালা-দুপুর, নিস্তব্ধ- বিকেল, নিঃসঙ্গ নদীর কাছেই  যত অভিযোগ আর অনুযোগ। রবিঠাকুর তখন বক্তৃতার, রবিঠাকুর তখন পাঠ্য বইয়ে আর ওই স্কুলের বারান্দার পাথররঙা মুখ। সেভাবে তেমন আমার অন্দরের হয়ে ওঠেননি। একদিন স্কুলের মঞ্চে প্রথম দেখা  'ডাকঘর' । এক বালক বিছানায় শুয়ে। অসুখ। তার বাইরে বেরোনো বারণ। যখন সে বলছে জানলা থেকে দেখা দূরের পাহাড় পেরিয়ে একদিন  চলে যাবে...পৃথিবীটা কথা বলতে পারে না... নীল আকাশ হাত তুলে ডাকে আর দুপুরবেলার একলা জানলার ধারে বসে সেসব ডাক নাকি শোনা যায়! এসব দেখে শুনে আমার মনে হয়েছিল– আমিই অমল। সেই থেকে ডাক শোনার আগ্রহ নিয়ে একলা জানলায় কাটিয়েছি কত দুপুর।

     এই একটা 'ডাকঘর'  কতবার যে কাঁদিয়েছে আমায় তার ইয়ত্তা নেই। যতবার পড়েছি মনে হয়েছে এই শেষবার, নিজে থেকে কে আর মনখারাপের বাঁশি বাজাতে চায়! দিন যায় মাস যায়, মনে হয় কতদিন আয়নায় মুখ রাখা হয়নি। কতদিন দেখা হয়নি আমার অমলের সাথে। ডুমুর গাছের নীচে যে ঝরনা, নাম নেই, তার ধারে বসে অমল একদিন ছাতু খেতে চেয়েছিল। পিসিমা বলেছেন অমল ভালো হয়ে গেলে একদিন নিশ্চয়ই ঐ ঝরনা ধারে নিয়ে গিয়ে ছাতু খাইয়ে নিয়ে আসবে। এই দৃশ্যে আমি আমার বড়পিসিকে কাছে পাই। মনে হয় আমি তার কোলে মাথা রেখে জিজ্ঞেস করছি– কবে আমি ভালো হব? আর আমার আলাভোলা বড়পিসিও অমলের পিসিমার মতোই বলে ওঠে–'আর তো দেরি নেই বাবা!'

পাঁচমুড়া পাহাড় দেখিনি আমি। আকাশের শেষ থেকে পাখির ডাক শুনে মনকেমন করতে শিখেছি অমলের কাছ থেকে।  অমলের  সহজ ইচ্ছেগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে দেখি এক দিকের বাতাস কেমন করে অন্যদিকে বয়ে যায়। অথচ অমলের শরীরে বিষ ছিল এই হাওয়া এই বাতাস এমনকি সূর্যাস্তের আলো। রাজকবিরাজ যেদিন এসে বললেন, খুলে দাও সব জানলা দরজা। অমল দেখতে পেয়েছিল অন্ধকারের ওপারকার তারাদের সংসার, তার আর অসুখ নেই। তখন আমার মনের গভীরে আশার আলো জেগেছিল। এইবার, এইবার নিশ্চয়ই অমল বেরিয়ে পড়বে চিঠি নিয়ে, কিংবা পাঁচমুড়া পাহাড়ের তলায় শ্যামলী নদীর ধারে। সুর করে ডেকে উঠবে দই–দই– ভালো দই! হয়তো বা সুধাকেই প্রশ্ন করবে –ভুলে গেলে আমায়! হয়তো বা প্রহরীর ঘন্টাধ্বনি শুনে কেমন করে উঠবে মন, সেই দূর দেশের কথা ভেবে! কিন্তু তা তো হল না। ঢং ঢং ঘন্টা ধ্বনিতে যেমন ছুটির আনন্দ লেখা থাকে, তেমনি থাকে বিদায়ের সুর।  এমনি করেই একদিন সমস্ত মনকেমন অসহায় হয়ে দাঁড়াল বিচ্ছেদ-যন্ত্রণায়। অমল শুয়ে, ঘরের প্রদীপ নিভে গেল!  রাজা এসে অমলকে ডেকে নিয়ে গেলেন অন্য ঘরে! সেই হিমের ঘরে!

একটা হাহাকার চিরদিনের মতো লিখে রেখে গেলেন যাদুকর। জেগে থাকল একলা দুপুর আর বিষণ্ণ বিকেল। আর ঘরের ভিতর বসে বসে আমৃত্যু মনকেমন করে যাব আমরা, অমলের বন্ধু যারা।

Keshab Metya ।। কেশব মেট‍্যা

রথযাত্রা



Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1204

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে
Sandeep Dey ।। সন্দীপ দে

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে   বোন সুভদ্রা বেড়াতে যাবার বায়না ধরলে তাকে ভোলাতে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে গমন করেছিলেন দুই দাদা - জগন্নাথ ও বলরাম। সেই যাত্রাই রথযাত্রা। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে রথযাত্রা নিয়ে বলতে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে- “রাধারাণী নামে একটি…

Jun 22, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1191

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা   সে কবেকার কথা। সংস্কৃত পণ্ডিত চতুষ্পাঠীতে ন্যায়শাস্ত্র শিখিয়ে চলছেন ছাত্রদের। আর পণ্ডিতের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে দূর বহুদূরে। তখন সময়টা দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে। বর্ধমান মহারাজ কীর্তিচন্দ্র মহাতাব। সংস্কৃত মনস্ক মহারাজের একান্ত ইচ্ছায় চেতুয়া পরগনার…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1191

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি   অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ধারে ভারে এগুলো বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। তবে জেলার মধ্যে বিখ্যাত মহিষাদলের রথ, রঘুনাথ বাড়ির রথ, নাড়াজোলের রথ, বগড়ির রথ, মহাপ্রভু মন্দিরের রথ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1098

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়
Souvik Bandopadhyay ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্ণতা এবং ভক্তির একটি প্রাচীন ঐতিহ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। গুপ্তিপাড়া পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমার বলাগড় ব্লকে অবস্থিত। গুপ্তিপাড়ার পাশ…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 955

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী
Umasankar Neogi ।। উমাশংকর নিয়োগী

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী ভগ্ন রাজপ্রাসাদ আছে রাজা নেই, রাজার রাজত্বও নেই কিন্তু রাজকীর্তির সব কিছু জনসাধারণের মন থেকে মুছে যায়নি। রাজকীর্তিকে নিজেদের অতীত গৌরব বলে মনে করেছে। সাধারণ মানুষের একটি অংশ নিজেদের অর্থ শ্রম আন্তরিকতা…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1371

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা
Keshab Metya ।। কেশব মেট‍্যা

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা     শৈশবে মেলার প্রতি আকর্ষণ থাকবে না, এটা ভাবাই যায় না। কচি পায়ে হাঁটা দিয়ে মেলা দেখতে যাওয়া আর ছোট্ট ছোট্ট জিনিসের জন্য আবদারই তো মেলার প্রাণ। খেলারমাঠ আর মেলারমাঠ পেলেই শিশুরা ডানা মেলতে চায়…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1061

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা
Dr.Nilotpal Jana ।। ড. নীলোৎপল জানা

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা     মহিষাদলের রথযাত্রায় মহিষাদল রাজ পরিবারের ভূমিকাই এক সময় প্রধান ছিল। এই রথ ২০০ বছরের প্রচীন। মহিষাদলের রথযাত্রার সূচনাবর্ষ নিয়ে অল্প হলেও বিতর্ক আছে। কোনো কোনো প্রাবন্ধিক মনে করেন ১৭৭৬ সাল নাগাদ মহিষাদল রথযাত্রার প্রবর্তন করেছিলেন  রানি…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1115

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী
Subhadip Goswami ।। শুভদীপ গোস্বামী

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী   রথযাত্রা মানেই যাত্রার বোধনের দিন। ষষ্ঠী থেকে জষ্ঠি যাত্রার মরশুম হলেও জগন্নাথদেবের রথের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় প্রায় ৫৫০ বছরের পুরাতন লোকশিল্প যাত্রার যাত্রাপথ। অনেকে আবার এই দিনটিকে যাত্রার নতুন খাতার…

Jun 23, 2023
আরও পড়ুন

সর্বাধিক জনপ্রিয়



একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...