আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...

একক কবিতা সন্ধ্যা



kobitadiwas

তরুণ কবির কবিতা উৎসব



Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। রজত গোস্বামী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। নিরঞ্জন জানা
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। মোনালিসা পাহাড়ী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সৌমন্তী সিনহাবাবু
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। সুজিত কুমার পাল
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কৌশিক দাস
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। আগমনী রাজ
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব।। মোহিত ব্যাপারী
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। কবিতা সামন্ত
Card image

তরুণ কবির কবিতা উৎসব
তরুণ কবির কবিতা উৎসব ।। শান্তময় গোস্বামী
 swadhinota
বিস্মৃতির ধুলায় মলিন ঘাটাল মহকুমার স্বদেশী আন্দোলন
                
দেবাশিস কুইল্যা
      ঘাটাল ; পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর পূর্বে অবস্থিত আয়তনে ৯৫২.২৮ বর্গ কিমি ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে স্বতন্ত্র মহকুমার স্বীকৃতি পায় । এই মহকুমার প্রাচীন ইতিহাসের নথি সম্পর্কে অপূর্ণতার অভিযোগ থাকলেও আধুনিক ইতিহাসে এখানের জনজাতির ভূমিকা অপাংক্তেয় নয় । বিশেষ করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন  ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে।
       উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে থেকে বিভিন্ন সভাসমিতি গঠনের মাধ্যমে উদারপন্থী রাজনীতির যে ধারা প্রচলিত ছিল তার প্রভাব দেখা যায় সমগ্ৰ মেদিনীপুর জেলা জুড়ে । রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে যে Indian Association গঠিত হলে ঘাটাল মহকুমায় তার শাখা  গড়ে উঠে  ঘাটাল সদর ও  রামজীবনপুরে । জলপথে কোলকাতার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় সারা মহকুমা জুড়ে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা দ্রুত বিস্তৃত হয় । ফলস্বরূপ রাষ্ট্রগুরুর নেতৃত্বে ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে কোলকাতায়  'নিখিল ভারত জাতীয় সম্মেলনে ও ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে উমেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে মুম্বাইয়ে জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে মেদিনীপুর জেলার প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মহকুমার  জাড়ার জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায় , কেঁচকা পুরের জমিদার বিহারীলাল সিংহ  ও নাগেশ্বর সিংহ ।
       এই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উন্মেষের সঙ্গে সাজুয্য রেখে স্বাদেশিকতার পিতামহ ঋষি রাজনারায়ণ বসু সমগ্ৰ জেলাজুড়ে বিভিন্ন সংস্কারমুখী আন্দোলনের সূচনা করেন । রাজনারায়ণেয় প্রভাবে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু , সত্যেন্দ্রনাথ বসু , প্যারিলাল ঘোষ , হেমচন্দ্র কানুনগো বিপ্লবী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে‌ বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ১৯০২ খ্রীষ্টাব্দে  গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার শাখা জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠে ।
       
১৯০৫ এর বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গার সাথে এই মহকুমাতেও  সভা অনুষ্ঠিত ও  স্বদেশী আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা  ও সহযোগিতা করেছেন  নাড়াজোলের রাজা  নরেন্দ্রলাল খান ও তার পুত্র দেবেন্দ্রলাল খান  ;  কেঁচকাপুরের জমিদার বিহারীলাল সিংহ, নাগেশ্বর সিংহ ও আশুতোষ সিংহ ; জাড়ার জমিদার যোগেশ চন্দ্র রায় ও তার দুই পুত্র কিশোরীপতি রায় এবং সাতকড়িপতি রায় । এদের উদ্যোগে ১৯০৬ এ ২৯শে মার্চ  জাড়ায় অনুষ্ঠিত সভায় বিদেশি দ্রব্য বর্জন ও দেশবাসীর কর্তব্য সম্পর্কে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন সাতকড়িপতি রায় ।  আর  ২১ জুলাই এঁদের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রগুরু ঘাটালে ১৩হাজার শ্রোতার সামনে স্বদেশী আন্দোলনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন । ঐ বৎসরই দাসপুর গঞ্জে সতীশচন্দ্ররায় স্বদেশী দ্রব্যের বিক্রয় কেন্দ্র খোলেন ।
       স্বদেশী আন্দোলনের উত্তাপে বারে বারে সমৃদ্ধ করেছে ঘাটাল মহকুমার জনপদ । বিশেষ করে ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগের পর মহকুমার বিপ্লবীরা বিভিন্ন গুপ্তসমিতি ও স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে তুলল কেঁচকাপুর , জাড়া , ক্ষীরপাই , খড়ার, নন্দনপুর , সোনাখালি , চেঁচুয়া , রাধাকান্তপুর , শ্যামগঞ্জ , রামজীবনপুরের পুরনো হাটতলায় ও ঘাটালের কুশপাতায় । বিভিন্ন আন্দোলন ও সভার মাধ্যমে বিভিন্ন গুপ্তসমিতির যোগাযোগ নিবিড় হওয়ার ফলে প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবী ও দলের কাছে অনায়াসে পৌঁছে যেত যুগান্তর, সন্ধ্যা , নবশক্তি - র মত   ইংরেজ সরকারের বিভিন্ন নিষিদ্ধ পত্র পত্রিকা ।
       ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে গান্ধীজীর লবন আইন অমান্য আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলে সমগ্ৰ মেদিনীপুর জেলার সাথে এই মহকুমার গুপ্তসমিতিগুলিতে । এই আন্দোলনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল দাসপুরের শ্যামগঞ্জ ও ঘাটালের হরিশপুরে । কারণ হিসেবে রূপনারায়ণের জোয়ার বাহিত নোনাজল হতে লবন তৈরির উপযুক্ত ভৌগোলিক অবস্থান আর সেই উৎপাদিত লবন বিক্রির মূল কেন্দ্র যথাক্রমে চেঁচুয়ার হাট ও ঘাটাল বাজার । এই দুই কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেন তৎকালীন মহকুমার কংগ্ৰেস সম্পাদক যতীশচন্দ্র ঘোষ , সভাপতি মোহিনী মোহন দাস ও তার পুত্র স্বদেশ রঞ্জন দাস সহ রামমোহন সিংহ , মন্মথ কুমার মুখোপাধ্যায় , সুরেন্দ্রনাথ অধিকারী সহ আরো অনেকে । এই সময় সত্যাগ্ৰহীদের উপর ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার ও  দমন পীড়ন চরম সীমায় পৌঁছলেও তারা পিছিয়ে আসেনি । বিভিন্ন নেতৃত্বের নির্দেশ পালন ও পুলিশী কোর্ট মার্শাল , অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল শ্যামগঞ্জ সহ পাশাপাশি গ্ৰামের অধিবাসী । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বে ছিলেন ভোলানাথ ঘোড়ই , অনন্ত খাটুয়া , হরিপদ মণ্ডল , সুরেন পাল । আর শ্যামগঞ্জে লবন তৈরীতে সহায়তা করার জন্য ও পুলিশী অত্যাচারের বিরুদ্ধে  গঠিত প্রমিলা বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন সুরেন পালের মা  গৌরী পাল । স্বদেশীদের কাছে যিনি 'বুড়িমা' নামে পরিচিত ছিলেন।
       ১৯৩০ এর ৭ই এপ্রিল শ্যামগঞ্জে লবন তৈরি শুরু হল । তার কিছুদিন পর হরিশপুরে । বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে লবন তৈরি চলতে লাগল আর স্বদেশীরা সেই লবন চেঁচুয়ার হাট ছাড়াও অন্যান্য জায়গার বিক্রির সাথে বিদেশি দ্রব্য বর্জনের আবেদন জানায়। স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা নিজেদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে স্বদেশীদের আবেদনে কর্ণপাত করেননি পরন্তু স্বদেশীদের কর্মকাণ্ড ও গতিবিধির খবর পৌঁছে দিত থানায় ।
        এমনই একদিন শনিবার, ৩রা জুন ১৯৩০। চেঁচুয়ার হাটে স্বদেশীরা বিলেতি কাপড় ও দ্রব্য বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধের পক্ষে প্রচার করছিল । সেই দুপুরে দাসপুর থানার বড়বাবু ভোলানাথ ঘোষ ও তার সহযোগী অনিরুদ্ধ সামন্ত চারজন সেপাই নিয়ে হাটে পৌঁছে কয়েকজনকে বন্দী করলে মৃগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ইচ্ছাকৃতভাবে  ভোলাদারোগার নামধরে ডাকে ও একই বেঞ্চে তার পাশে বসলে অপমানিত দারোগাবাবু হাতের বেত দিয়ে মৃগেন্দ্রকে প্রহার করে । সাহসী মৃগেন্দ্রনাথও ছেড়ে দেবার পাত্র নন । দারোগার হাতের বেত কেড়ে ঐ বেত দিয়েই প্রতিশোধের উপযুক্ত বেত্রাঘাত ফিরিয়ে দেন । তা দেখে উত্তেজিত জনতা ভোলা দারোগাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে । রাতে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ডোমনার পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে কলাগাছ লাগিয়ে দেয় । অন্যদিকে নিবারণ মাজীর কাপড় দোকানে লুকিয়ে থাকা অনিরুদ্ধ সামন্তকে বের করে স্বদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া হলে ঐদিন রাতে চক বোয়ালিয়ার চিৎমল্লিক পুকুর পাড়ে দেহ টুকরো টুকরো করে সারামাঠ জুড়ে ছড়িয়ে দেয় । বাকি চার সেপাইকে নিয়ে বিপ্লবী সুধাংশু ঘোষ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান । সুধাংশু বাবুর বাবা জমিদার দেবেন্দ্র ঘোষ ও চার সেপাই এর বিপদের আশঙ্কায় বিশ্বস্ত কর্মচারী দিয়ে রাতেই সন্তর্পণে মলিঘাটীর নদী পার করে দিলে পরদিন মেদিনীপুর পৌঁছায় ।
        ৩রা জুনের ঘটনার কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গ্ৰামান্তরে । ৪ঠা জুন দুপুরে মেদিনীপুরের জেলাশাসক মি: পেডি , অতিরিক্ত জেলাশাসক এম . আব্দুল করিম , দাসপুর থানার নবনিযুক্ত দারোগা ইয়ার মহম্মদ তদন্তে এলেন । সেই সূত্রে বসল পুলিশ ক্যাম্প সঙ্গে চেঁচুয়া সহ আশেপাশের গ্ৰামে চলল অকথ্য অত্যাচার । সাধারণ জনগণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও  ক্যাম্প তুলে নেওয়ার দাবীতে সোচ্চার হন । ৬ই জুন জলপথে আরও পুলিশ ও সেপাই আসার খবর শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে আশেপাশের গ্ৰামে ছড়িয়ে পড়লে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কাতারে কাতারে মানুষ হাটের উত্তর পাড়ে জমা হতে থাকে । পুলিশের কথা অন্যান্য করে পলাশপাই খাল অতিক্রমে প্রস্তুত হলে পুলিশের আই .ডি লোম্যান গুলি চালানোর নির্দেশ দেন । পুলিশের গুলিতে ১৪ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয় । এতদসত্ত্বেও সাধারণ মানুষ ভয় না পেয়ে অগ্ৰসর হলে পুলিশ বাহিনী পলাশপাই খালের খাসিকাটা ঘাট অতিক্রম করে জলপথে কংসাবতী নদী পথে পিছু হটে ।
        এর পর পাশাপাশি গ্ৰামে ও গৃহস্থের বাড়িতে যে পুলিশী অত্যাচার চলতে থাকে তা অবর্ণনীয় ।  বিভিন্ন স্বদেশী ও স্বেচ্ছাসেবীদের উপর গ্ৰেপ্তারী  পরোয়ানা জারি হওয়ার সাথে সাথে এলাকায় পিটুনি কর বসানো হল ।  এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার পক্ষের দায়ের করা মামলায় বিশেষ আদালত গঠিত হলে বিচারপতি সি.এম. এইচ .বি . লেথব্রিজ কাছে আসামী পক্ষের সমর্থনে বিনা পারিশ্রমিকে সওয়াল করেছিলেন ব্যারিস্টার সুনন্দ সেন এবং আসামী পক্ষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু , ব্যারিস্টার বীরেন্দ্রনাথ শাসমল , শরৎচন্দ্র বসু , সাতকড়িপতি রায় , বরদাপ্রসন্ন পাইন , রাজা দেবেন্দ্রলাল খান ।
         লবন আইন অমান্য কেন্দ্র করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শিউরে ওঠা  এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জওহরলাল নেহরু বললেন , " Among the many places which have provided martyers for the cause of Indian freedom , Midnapore district occupies an honourable position ."   শ্যামগঞ্জে গৌরী পালের নেতৃত্বে প্রমিলা বাহিনীর উদ্দ্যেশে আরও বললেন   " দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মেয়েরা উপস্থিত করেছেন আমরা তা ভুলতে পারিনা । মেদিনীপুরে যা ঘটে গেছে তাও স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়ার নয় । "
         স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঘাটাল মহকুমার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কম  গুরুত্বপূর্ণ নয় । তবুও কোথাও যেন মনে হয় ,  ঘাটাল মহকুমা জুড়ে উদারনৈতিক‌ রাজনীতি থেকে শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন , অসহযোগ আন্দোলন , লবন সত্যাগ্ৰহে স্বতঃস্ফূর্ত ও নিঃশর্ত অংশগ্রহণ করা স্বাধীনতাকামী মানুষের আত্মবলিদান আজ উপেক্ষিত ।
         একই লক্ষ্য পূরণের  উদ্যেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনার  একত্রিতকরণই  বৃহৎ ইতিহাস । সেই বৃহৎ ইতিহাসে উজ্জ্বলতর ও বিশেষ ঘটনা স্থান পায় পাঠ্যের অংশ হিসেবে । ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এমনও ঘটনা স্থান পেয়েছে যাকে অনায়াসে ছাপিয়ে যেতে পারে ৬ই জুন ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দের ঘটনা বা শ্যামগঞ্জের লবন আন্দোলন । লেখা হয়নি তার বিস্তৃত বিবরণ যা পড়ে মহকুমার মানুষ তার পূর্বসূরীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকার কথা স্মরণ কর গর্বিত মনে করে । জানার উপায় নেই ১৪টি প্রাণের বিনিময়ে পরবর্তী সময়ে আন্দোলন কোন পথে কতটা  এগিয়েছে  বা , পরবর্তী সময়ে মহকুমা জুড়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কী ছিল । এই ঘটনার ষোল বছর পর ভারতের পূর্ণ স্বরাজ এসেছে । ঘটে যাওয়া ঘটনা ও স্বাধীনতার মধ্যবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে কী ভূমিকা পালন করছে । স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও  কেন এখানে ইতিহাস বড় চুপ করে থেকেছে  তা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়নি । স্বাধীনোত্তর সময়েও সরকারের  বিভিন্ন সভা সমিতিতেও বিশেষ আলোচিত হয়েছে বলে মনে হয় না ।
         আগষ্ট মাস বিপ্লবের মাস । ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাস । স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম সারির নেতৃত্বের ভূমিকা ও তাদের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয় । সংবাদমাধ্যম পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা খরচ করে ।  কী নিদারুণ উপেক্ষার সারণীতে ও ইতিহাসের অন্ধকারময় জগতে হারিয়ে যায় সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ ও আবেগ । তাদের উত্তরসূরী অনুভব করতেই পারেনা তাদের যুক্তির  সীমাহীন ভাবাবেগ । আঞ্চলিক ইতিহাসের প্রতি এই উপেক্ষা আর উদাসীনতা স্বাধীনতা পালনের  স্বাদহীন উপকরণ ।
তথ্যসূত্র :-
১) মেদিনীপুর - তরুণদেব ভট্টাচার্য
২) পশ্চিমবঙ্গ : মেদিনীপুর জেলা সংখ্যা -২০০৪
৩) চন্দ্রকোনা : ইতিহাস ও সংস্কৃতি - ডা: সুদর্শন রায়
৪)ঘাটাল মহকুমার বিশিষ্ট গবেষক - অশোক পাল ও দেবাশিস ভট্টাচার্য
৫) সাক্ষাৎকার ; নিরঞ্জন মাইতি - শ্যামগঞ্জ
        
        
      
      
       
       
         
 
 
 

Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

রথযাত্রা



Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1087

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়
Souvik Bandopadhyay ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ।। শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্ণতা এবং ভক্তির একটি প্রাচীন ঐতিহ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ২৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। গুপ্তিপাড়া পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। এই জায়গাটি চুঁচুড়া সদর মহকুমার বলাগড় ব্লকে অবস্থিত। গুপ্তিপাড়ার পাশ…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 940

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী
Umasankar Neogi ।। উমাশংকর নিয়োগী

রথ দেখবি নাড়াজোল, জাত দেখবি কানাশোল ।। উমাশঙ্কর নিয়োগী ভগ্ন রাজপ্রাসাদ আছে রাজা নেই, রাজার রাজত্বও নেই কিন্তু রাজকীর্তির সব কিছু জনসাধারণের মন থেকে মুছে যায়নি। রাজকীর্তিকে নিজেদের অতীত গৌরব বলে মনে করেছে। সাধারণ মানুষের একটি অংশ নিজেদের অর্থ শ্রম আন্তরিকতা…

Jun 21, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1194

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে
Sandeep Dey ।। সন্দীপ দে

মাহেশের রথে ঘাটাল যোগ ।। সন্দীপ দে   বোন সুভদ্রা বেড়াতে যাবার বায়না ধরলে তাকে ভোলাতে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে গমন করেছিলেন দুই দাদা - জগন্নাথ ও বলরাম। সেই যাত্রাই রথযাত্রা। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে রথযাত্রা নিয়ে বলতে প্রথমেই যেটা মাথায় আসে- “রাধারাণী নামে একটি…

Jun 22, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1048

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা
Dr.Nilotpal Jana ।। ড. নীলোৎপল জানা

মহিষাদলের রথযাত্রা ।। ড. নীলোৎপল জানা     মহিষাদলের রথযাত্রায় মহিষাদল রাজ পরিবারের ভূমিকাই এক সময় প্রধান ছিল। এই রথ ২০০ বছরের প্রচীন। মহিষাদলের রথযাত্রার সূচনাবর্ষ নিয়ে অল্প হলেও বিতর্ক আছে। কোনো কোনো প্রাবন্ধিক মনে করেন ১৭৭৬ সাল নাগাদ মহিষাদল রথযাত্রার প্রবর্তন করেছিলেন  রানি…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1176

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা
Debasish Kuila ।। দেবাশিস কুইল্যা

দাসপুরের খাঞ্জাপুরের প্রাচীন রথ ।। দেবাশিস কুইল্যা   সে কবেকার কথা। সংস্কৃত পণ্ডিত চতুষ্পাঠীতে ন্যায়শাস্ত্র শিখিয়ে চলছেন ছাত্রদের। আর পণ্ডিতের পরিচয় ছড়িয়ে পড়েছে দূর বহুদূরে। তখন সময়টা দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে। বর্ধমান মহারাজ কীর্তিচন্দ্র মহাতাব। সংস্কৃত মনস্ক মহারাজের একান্ত ইচ্ছায় চেতুয়া পরগনার…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1103

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী
Subhadip Goswami ।। শুভদীপ গোস্বামী

রথযাত্রা: যাত্রার বোধনের দিন ।। শুভদীপ গোস্বামী   রথযাত্রা মানেই যাত্রার বোধনের দিন। ষষ্ঠী থেকে জষ্ঠি যাত্রার মরশুম হলেও জগন্নাথদেবের রথের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় প্রায় ৫৫০ বছরের পুরাতন লোকশিল্প যাত্রার যাত্রাপথ। অনেকে আবার এই দিনটিকে যাত্রার নতুন খাতার…

Jun 23, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1355

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা
Keshab Metya ।। কেশব মেট‍্যা

মেদিনীপুরের তিয়রবেড়িয়ার পেতলের রথ ।। কেশব মেট্যা     শৈশবে মেলার প্রতি আকর্ষণ থাকবে না, এটা ভাবাই যায় না। কচি পায়ে হাঁটা দিয়ে মেলা দেখতে যাওয়া আর ছোট্ট ছোট্ট জিনিসের জন্য আবদারই তো মেলার প্রাণ। খেলারমাঠ আর মেলারমাঠ পেলেই শিশুরা ডানা মেলতে চায়…

Jun 19, 2023
Card image




রথযাত্রা  দেখেছেন : 1177

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি
Bhaskarbrata Pati ।। ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের রথযাত্রা ।। ভাস্করব্রত পতি   অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ধারে ভারে এগুলো বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। তবে জেলার মধ্যে বিখ্যাত মহিষাদলের রথ, রঘুনাথ বাড়ির রথ, নাড়াজোলের রথ, বগড়ির রথ, মহাপ্রভু মন্দিরের রথ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন…

Jun 19, 2023
আরও পড়ুন

সর্বাধিক জনপ্রিয়



একক কবিতা সন্ধ্যা



সহজ কবিতা সহজ নয় কঠিনও নয়



মহুল ওয়েব প্রকাশিত বিভিন্ন সংখ্যা



করোনা Diary



আমাদের কথা

আমাদের শরীরে লেপটে আছে আদিগন্ত কবিতা কলঙ্ক । অনেকটা প্রেমের মতো । কাঁপতে কাঁপতে একদিন সে প্রেরণা হয়ে যায়। রহস্যময় আমাদের অক্ষর ঐতিহ্য। নির্মাণেই তার মুক্তি। আত্মার স্বাদ...

কিছুই তো নয় ওহে, মাঝে মাঝে লালমাটি...মাঝে মাঝে নিয়নের আলো স্তম্ভিত করে রাখে আখরের আয়োজনগুলি । এদের যেকোনও নামে ডাকা যেতে পারে । আজ না হয় ডাকলে মহুল...মহুল...

ছাপা আর ওয়েবের মাঝে ক্লিক বসে আছে। আঙুলে ছোঁয়াও তুমি কবিতার ঘ্রাণ...